দশম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ প্রথম অধ্যায়। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
বহির্জাত প্রক্রিয়া এবং নদীর কাজের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ।
Class 10 geography lesson 1 |
মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভূগোল ও পরিবেশের প্রাকৃতিক ভূগোল থেকে মোট ৩২ নম্বর আসে তবে এর মধ্যে রয়েছে বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তার শ্রেষ্ঠ ভূমিরূপ ,বায়ুমণ্ডল এবং বারিমন্ডল।
এখানে মোট পাঁচটি বিভাগ থেকে প্রশ্ন দেওয়া হয়। এক নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন, এক নম্বরের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, দু'নম্বর করে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, তিন নাম্বার করে ব্যাখ্যা মূলক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং ৫ নাম্বারের লং কোশ্চেন।
সেই দিকে মাথায় রেখে প্রথম অধ্যায়ের বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা শ্রেষ্ঠ ভূমিরূপ এর প্রথম পরিচ্ছদ হিসেবে নদীর কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ থেকে যে ধরনের প্রশ্ন আসে সেই ধরনের প্রশ্ন এবং উত্তর এই অধ্যায়ের আলোচনা করা হলো।
এখানের আলোচিত সমস্ত প্রশ্নই খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই ভালোভাবে প্রশ্নগুলো করে নিতে হবে।
যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারো।
নিচে হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রাম গ্রুপের লিংক দেওয়া রয়েছে সেখানে জয়েন হয়ে তোমাদের সমস্যার কথা বলতে পারবে।
Important suggestion
তো চলো শুরু করা যাক।
- বহির্জাত প্রক্রিয়া বলতে ভূপৃষ্ঠের উপরের প্রক্রিয়াকে বোঝানো হয়।
- যে উঁচু ভূমি নদী দুটি অববাহিকাকে পৃথক করে তাকে জলবিভাজিকা বলে।
- নদী হিমবাহ বায়ু প্রবাহ সমুদ্র তরঙ্গের কার্য হল একটি বহিরাত প্রক্রিয়া।
- ছোট ছোট ধাপ বিশিষ্ট জলপ্রপাতকে র্যাপিডস বলে।
- নদীর জল সংগ্রহের স্থানই হলো নদীর ধারণ অববাহিকা।
- উচ্চ গতিতে নদী বেশি জলপ্রপাত সৃষ্টি করে।
- সমুদ্র পৃষ্ঠ হলো ক্ষয়ের শেষ সীমা।
- জলপ্রপাত ক্রমশ উৎসের দিকে সরে যায়।
- পার্বত্য গতিতে নদীর নিম্ন ক্ষয় প্রধানত অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় হয়।
- ভূপৃষ্ঠের জলের প্রধান দুটি উৎস হল বৃষ্টিপাত এবং তুষারপাত।
- যে প্রক্রিয়ায় ক্ষয় বহন এবং সঞ্চয়ের সাম্যতা আসে তাকে পর্যায়ন বলে।
- পৃথিবীর গভীরতম গিরিখাত অবস্থিত কালিগণ্ডক নদীতে।
- ব দ্বীপের আকৃতি গ্ৰীক অক্ষর ডেল্টা এর মত।
- কৃষ্ণা নদীর বদ্বীপের আকৃতি পাখির পায়ের মতো।
- পৃথিবীর সর্ব প্রধান জলবিভাজিকা হল মধ্য এশিয়ার পার্বত্য ভূমি।
- যে নদী কোন দেশের মধ্যে উৎপন্ন হয়ে সেই দেশের মধ্যে জলাশয় মেশে তাকে অন্তর্বাহিনী নদী বলা হয়।
- একটি অন্তর্বাহিনী নদীর নাম হলো লুনি
- সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় অবরোহন প্রক্রিয়ায়।
- বহির্জাত প্রক্রিয়া হিসেবে কাজ করার শক্তি হল বায় প্রবাহ।
- বদ্বীপ অঞ্চলের নদী গুলি বেনুনিরূপী নদী নকশা গঠন করে।
- নদীর নিম্ন ক্ষয় করার ক্ষমতা পুনরায় ফিরে পেলে তাকে বলা হয় পুন: যৌবনলাভ।
- পৃথিবীর প্রশস্ততম জলপ্রপাত হলো লাউস জলপ্রপাত।
- পলল ব্যজনী অর্ধগোলাকার হলে তাকে পলল পাখা বলা হয়।
- নদীর জলপ্রবাহ মাপার একক হল কিউসেক ও কিউমিক।
- দুটি নদীর মধ্যবর্তী স্থানকে বলা হয় দোয়াব।
- জলপ্রপাতের তলদেশে সৃষ্ট গোলাকার গর্তকে বলা হয় প্রপাতকূপ।
- নদীপতখার যে নির্দিষ্ট অংশ ধারা জল বাহিত হয় তাকে বলে নদী খাত।
- নদীতে জলের বহমানতা বজায় থাকে জলচক্রের মাধ্যমে।
- বুদবুদ খয়ের ফলে সৃষ্ট শিলা গর্ত কে বলে ক্যাভিটেশন।
1. পর্যায়নের ধারণাটি প্রথম দেন বিজ্ঞানী চেম্বারলিন ও সলিসবেরি।
2. নদী উপত্যকা কাকে বলে?
উঃ উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত নদীর উভয়পার্শ্বস্থ উচ্চভূমির মধ্যে সংকীর্ণ ও দীর্ঘায়ত ভূমিভাগকে নদী উপত্যকা বলে।
3. ধারণ অববাহিকা কাকে বলে?
একটি প্রধান নদী তার উপনদী, শাখানদী মিলিয়ে যতটুকু স্থান অধিকার করে আছে তাকে নদী অববাহিকা বলে। এই নদী অববাহিকার মধ্যে পার্বত্য বা উচ্চভূমি অংশে নদী যতটুকু অঞ্চল অধিকার করে আছে তা হল ধারণ অববাহিকা।
4. অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কাকে বলে?
উঃ নদী যখন নিম্নপ্রবাহে প্রবাহিত হয় তখন যদি খুব আঁকাবাঁকা গতিপথে প্রবাহিত হয় এবং খাড়াপাড় অংশে পার্শ্বক্ষয় এবং মৃদুঢাল অংশে অবক্ষেপন চলতে থাকে, ফলস্বরূপ একসময় বাঁকের মধ্যবর্তী স্থান সংকীর্ণ হয়ে যুক্ত হয় এবং নদী সোজা পথে চলতে থাকে। তখন ওই অবশিষ্ট বাঁকা অংশটি হ্রদের আকারে অবস্থান করে। এই প্রকার হ্রদ দেখতে অনেকটা ঘোড়ার ক্ষুরের মতো হয় বলে একে অশ্বক্ষুরাকৃতি (Ox-bow Lake) হ্রদ বলে।
5. জলচক্র কাকে বলে?
: বাষ্পীভবন, ঘনীভবন ও বর্ষণের মাধ্যমে জল এক আধার থেকে অন্য আধারে অবিরাম চক্রাকারে আবর্তিত হয়ে চলেছে। বিভিন্ন আধারে জলের এই চক্রাকারে প্রবাহের প্রক্রিয়াকে জলচক্র বলে।
6. পর্যায়ন প্রক্রিয়া বলতে কী বোঝো?
উঃ ক্ষয়সীমার সাপেক্ষে অসমতল ও বন্ধুর ভূমির সমতলে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া হল পর্যায়ন। মূলকথা হল আরোহণ ও অবরোহণের মিলিত ফল হল পর্যায়ন।
ভূবিজ্ঞানী চেম্বারলিন ও স্যালিসব্যারি পর্যায়ন কথা প্রথম ব্যবহার করেন।
7. অবরোহণ প্রক্রিয়া কাকে বলে?
উঃ যে প্রক্রিয়ার দ্বারা বিভিন্ন বহির্জাত শক্তিসমূহ ভূপৃষ্ঠের কোনো উচ্চস্থানকে
বারংবার ক্ষয়ের ফলে সমতল ভূভাগে পরিণত করে সেই প্রক্রিয়াকে অবরোহণ প্রক্রিয়া
বলে।
৪. ক্ষয়সীমা কাকে বলে?
উ: ক্ষমাকারী শক্তিগুলি ভূপৃষ্ঠে নীচে যতটা পর্যন্ত ক্ষয় করতে পারে তা হল ক্ষয়সীমা। ক্ষয়সীমার শেষ হল সমুদ্রপৃষ্ঠ। ভূবিজ্ঞানী J. Powell ক্ষয়সীমা ধারণার প্রবর্তক।
9. নদীবর্তন কাকে বলে ?
: সারাবছর ধরে নদীতে জলের পরিমাণ একরকম থাকে না। কখনও বৃদ্ধি হয় কখনও হ্রাস হয়। বিভিন্ন ঋতুতে নদীর জলের পরিমাণের হ্রাসবৃদ্ধিকে নদীবর্তন বলে।
10. পটহোল বা মন্থকূপ কাকে বলে?
নদীর প্রবাহপথে কোমল শিলা অবস্থানের জন্য অবঘর্ষের ফলে নদীবাহিত শিলাখন্ড দ্বারা নদীগর্ভের কোমল শিলাস্তর আঘাতপ্রাপ্ত ও ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যে গর্তের সৃষ্টি হয়, তাকে পটহোল বা মন্থকূপ বলে।
11. গিরিখাত বলতে কী বোঝো?
পার্বত্য প্রবাহের নিম লক্ষ্য বেশি হলে বৃষ্টিবহুল অঞ্চলে পার্শ্বয় সামান্য হয় ফলে নদী খাত ভি আকৃতি বিশিষ্ট হয় এইরূপ সুগভীর অথচ কম চওড়া আকৃতির নদী খাতকে গিরিখাত বলা হয়। উদাহরণ হিসেবে ইয়াংসিকিয়াং নদীর ইচাং গিরিখাত।
12. স্বাভাবিক বাঁধ বলতে কী বোঝো?
নদীর কিনারে তট রেখার সমান্তরালে বালি ও পলি দ্বারা গঠিত বাঁধকে স্বাভাবিক বাঁধ বলা হয়। এই ধরনের বাধ গঠিত হয় সাধারণত প্লাবনের জন্য নদী খাতের জল পাড়ে উঠে পরলে নদী বাহিত পলি সঞ্চিত হয়ে তৈরি হয়।