দশম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ প্রথম অধ্যায়। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | Class 10 Geography Lesson 1 questions
byAdmin•
0
দশম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ প্রথম অধ্যায়। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর |
Class 10 Geography Lesson 1 important questions
হ্যালো বন্ধুরা ,
আগের পোস্ট এ আমরা তোমাদের সঙ্গে দশম শ্রেণীর ভূগোল এবং পরিবেশের প্রথম অধ্যায়ের বহির্জাত প্রক্রিয়া এবং নদী কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ শর্ট কোশ্চেন নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।
আজ তোমাদের সঙ্গে হিমবাহের কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমির ূপ থেকে শর্ট কোশ্চেন আলোচনা করব। এই অধ্যায়ে এমন কিছু টার্ম রয়েছে অর্থাৎ কিছু ভূমিরূপ রয়েছে যেগুলোর উচ্চারণ সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষে একটু কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
এবং তা মনে রাখারও সমস্যা দেখা দেয়। তাই ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ যে তারা যেন এই অধ্যায়টা বারবার অনুশীলন করে ।
যাতে কঠিন শব্দগুলো মনে থাকে এবং তাদের সংজ্ঞাগুলো।
বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো।
1➤ পর্বত গাত্র ও হিমবাহের মধ্য কাকে বলা হয়
➤ বার্গস্নুড
2➤ হিমবাহ সঞ্চিত বড় বড় শিলা খণ্ড কে কি বলা হয়
ⓐ কেম ⓑ এসকার ⓒ আগামুখ ⓓ লোব
➤ আগামুখ
3➤ মহাদেশীয় হিমবাহের মধ্যে বরফ মুক্ত উচ্চভূমির চূড়াকে কি বলা হয়
ⓐ বার্গস্রুন্ড ⓑ স্নাউট ⓒ লোব ⓓ নুনাটক
➤ নুনাটক
4➤ হিমবাহ উপত্যকার আকার দেখতে কি রকম হয়
ⓐ আই আকৃতি ⓑ ভি আকৃতি ⓒ ইউ আকৃতি ⓓ এস চাকরিতে
➤ ইউ আকৃতি
5➤ হিমবাহ গঠিত উপত্যকা সমুদ্র জলের নিমজ্জিত হলে যে উপকূল সৃষ্টি হয় তাকে বলা হয়
Q ➤ 14. নুনাটকস পার্বত্য হিমবাহে সৃষ্টি হয়।Ans ➤ শুদ্ধ
Q ➤ 15. ‘ডিমের ঝুড়ি' ভূমিরূপ বলে ড্রামলিন।Ans ➤ শুদ্ধ
্্্
একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও :
1. হিমরেখা কী?
> চিরতুষারাবৃত অঞ্চলের নিম্নতম প্রান্তরেখা যার ঊর্ধ্বে বরফ গলে না তাকে হিমরেখা
বলে।
2. কোন মহাদেশে সর্বাধিক হিমবাহ দেখা যায় ?
...> অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে।
3. হিমবাহের জিভের মতো অংশকে কী বলে?
> স্নাউট।
4. নেভে কী?
> সদ্যপতিত হালকা পেঁজা তুলোর ন্যায় তুষারকে নেভে বলে।
5. করি অংশের পিছনে মস্তক দেয়াল ও হিমবাহের মধ্যবর্তী ফাঁককে কী বলে?
> র্যান্ডক্যাফট।
6. পৃথিবীর গভীরতম ফিয়র্ড কোনটি?
> নরওয়ের সোজনে ফিয়র্ড।
7. পাদদেশীয় হিমবাহের অগ্রভাগকে কী বলে?
> লোব।
8. হিমসিঁড়ি বেসিনে সৃষ্ট হ্রদকে কী বলে?
> প্যাটারনস্টার হ্রদ।
9. টিলাইট কাকে বলে?
> মহাদেশীয় হিমবাহের সঞ্জয়কার্যের ফলে গঠিত অস্তরীভূত ও অসমধর্মীয় প্রকৃতির ভূমিরূপকে টিলাইট বলে।
10. নব কী?
> কেটলগুলির মধ্যবর্তী উঁচু স্থানগুলিকে নব বলে।
11. ভ্যালি ট্রেন কী?
> বহিঃবিধৌত সমভূমি নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন হলে তাকে ভ্যালি ট্রেন বলে।
12. হিমবাহ সৃষ্ট 'U' আকৃতির উপত্যকাকে কী বলে?
> হিমদ্রোণী।
13. কেলাসিত বরফের স্তূপকে কী বলে?
> কেলাসিত বরফের স্তূপকে বলে ফার্ন।
14. এসকার কী?
> হিমবাহের শেষপ্রান্তে শিলাচূর্ণ, বালি, ইত্যাদি দ্বারা গঠিত আঁকাবাঁকা শৈলশির
হল এসকার।
2. পার্টিারনস্টার হ্রদ কাকে বলে?
Ans= উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে হিমদ্রোণীর নিম্ন অংশে ভূমিতলের ঢাল পর্বতগাত্রের দিকে হওয়ায় হিমবাহগলা জল সেই ধাপেই জমে হ্রদ সৃষ্টি করে। এই প্রকার হ্রদকে প্যাটারনস্টার
হ্রদ বলে।
3. হিমশৈল কী?
সমুদ্রের মধ্যে ভাসতে থাকা বড়ো বড়ো বরফের চাঁই হল হিমশৈল। মহাদেশীয় হিমবাহ সমুদ্রের ধারে এসে পড়লে তরঙ্গের আঘাতে ভেঙে সমুদ্রে ভাসতে থাকলে তাকে
হিমশৈল বলে।
4. উৎপাটন কী?
Rs হিমবাহের প্রবাহপথে অসংলগ্ন শিলাখন্ডগুলি হিমবাহের চাপে উৎপাটিত হয়। এই
পদ্ধতিকে উৎপাটন বলে।
15. হিমদ্রোণী কাকে বলে? -
s উপত্যকা হিমবাহের ক্ষয়কাজের ফলে তলদেশ অত্যন্ত প্রশস্ত কিন্তু পার্শ্বদেশ অপেক্ষাকৃত মসৃণ ও খাড়া এমন যে হিমবাহ উপত্যকার সৃষ্টি হয়, তাকে হিমদ্রোণী বলে।
6. বহিঃবিধৌত সমভূমি কাকে বলে?
উঃ হিমবাহের প্রান্তসীমায় হিমরেখার নীচে হিমবাহের বরফ গলে যাওয়ার ফলে যে
জলধারার সৃষ্টি হয়, সেই জলপ্রবাহ পাদদেশীয় অঞ্চলে নুড়ি, বালি, কাদা জমা করে এক
বিস্তীর্ণ সমভূমি গঠন করে, একে বহিঃবিধৌত সমভূমি বলে।
7. কর্তিত শৈলশিরা কাকে বলে?
উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে যে শৈলশিরাগুলির অগ্রভাগ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে খাড়া ঢালে পরিণত হয়, তাদের কর্তিত শৈলশিরা বলে। ৪. হিমরেখা কাকে বলে?
3: হিমরেখা কাকে বলে?
অত্যধিক শৈত্যের জন্য পর্বতগাত্রে যে সীমারেখার উপরে সারাবছরই জল জমে
বরফে পরিণত হয়ে থাকে এবং ওই সীমারেখার নীচে উত্তাপে বরফ গলে যায়, সেই কাল্পনিক
সীমারেখাকে হিমরেখা বলে।
9. নুনাটক কী?
ইন্দ্র উচ্চ অক্ষাংশের মহাদেশীয় হিমবাহ প্রধান অঞ্চলে পর্বতের তুষারমুক্ত শৃঙ্গ বা শিখরদেশকে নুনাটক বলে। মাউন্ট তাকাহি একটি নাটকের উদাহরণ।
10. সেরাক কী?
: পার্বত্য অঞ্চলে ক্রমাগত তুষারপাতের ফলে হিমবাহে গভীর খাদের সৃষ্টি হয় এবং খাদের পাশে হিমবাহের অংশগুলি চূড়ার আকারে অবস্থান করে। হিমবাহের খাদের পাশে গঠিত এইরূপ চূড়াকে সেরাক বলে।
11. এরিটি বা অ্যারেৎ কাকে বলে?
উঃ সার্কগুলি মস্তবক্ষয় ও পার্শ্বক্ষয়ের মাধ্যমে ক্রমশ প্রসারিত হলে দুটি করির মধ্যবর্তী অংশ
সংকীর্ণ হয়ে তীক্ষ্ণ শৈলশিরা গঠন করলে তাকে এরিটি বা অ্যারেৎ বলে।
12. ক্র্যাগ ও টেল কাকে বলে?
Ans: হিমবাহের প্রবাহপথে কোনো কঠিন শিলাখণ্ডের পরে নরম শিলাস্তর থাকলে কঠিন।
শিলাস্তরের জন্য নরম শিলাত্তরটি ক্ষয় হতে রক্ষা পায়। ফলে টিলা সদৃশ কঠিন শিলাখণ্ডকে
ট্র্যাগ ও লেজের ন্যায় গঠিত নরম শিলাস্তরকে টেল বলা হয়।
13. কেটেল ও কেটেল হ্রদ কী?
উঃ বহিঃবিধৌত সমভূমিতে বড়ো বড়ো বরফখণ্ড জমে থাকে। পরে ওই বরফ গলে। সৃষ্ট গর্ত বা অবনমিত অংশ হল কেটেল। কেটেল অংশে জল জমে হ্রদ সৃষ্টি হলে তাকে
কেটেল হ্রদ বলে।
14. কেম কাকে বলে ?
: বহিঃবিধৌত সমভূমি অঞ্চলে হিমবাহ গলে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট নদী, হিমবাহ বাহিত নুড়ি, কাঁকর, বালি, কাদা প্রভৃতি হিমসাব সহায় করে শঙ্কু আকৃতিবিশিষ্ট যে ভূমিরূপ গঠিত হয় তাকে কেম বলে।
15. 'U' আকৃতির উপত্যকা কাকে বলে?
উঃ উপত্যকার মধ্য দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হলে হিমবাহের ক্ষ্যাকার্যের ফলে উপত্যকার
মেঝে চওড়া হয় এবং দুপার্শ্বস্থ দেয়াল খাড়া ঢালযুক্ত হয়, ফলে উপত্যকাটি দেখতে 'U'
আকৃতির মতো হয়। একে 'U' আকৃতির উপত্যকা বলে।
16. গ্রাবরেখা কাকে বলে?
: হিমবাহ দ্বারা ক্ষয়িত পদার্থ নুড়ি, বালি, কাঁকর প্রভৃতি হিমবাহের সঙ্গে পরিবাহিত হয়ে হিমবাহের বিভিন্ন অংশে (দু-পাশে, সামনে ও তলদেশে) সজ্জিত হয়ে যে রেখাসদৃশ ভূমিরূপ গঠন করে তাকে গ্রাবরেখা বলে।
অবস্থান অনুযায়ী গ্রাবরেখাগুলি বিভিন্ন নামে পরিচিত হয়। যেমন হিমবাহের দু'পাশে সজ্জিত হয়ে পার্শ্বগ্রাবরেখা গঠন করে।