WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দ্বি-নক্ষত্রীয় তত্ত্ব (Two Star hypothesis)

পৃথিবী সৌরমণ্ডলের এমন এক স্থানে অবস্থান করে যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সৌরমণ্ডলের অন্য কোন গ্রহে নেই তাই বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর জন্মের কারণ জানার জন


দ্বি-নক্ষত্রীয় তত্ত্ব

(Two Star hypothesis)


Daily GK Career : তোমাদের প্রত্যেককে ডেইলি জিকে কেরিয়ার  ( Daily GK Career)  এ স্বাগত জানাই। রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের যেকোনো ধরনের পরীক্ষার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয়ে জেনারেল নলেজ এই ওয়েবসাইটে শেয়ার করে থাকি।

 এছাড়াও প্রতিনিয়ত আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে ১৫ টি কিংবা তারও অধিক কুইজ কোশ্চেন শেয়ার করা হয়। Quiz অংশগ্রহণ করতে তোমরা আমাদের উপরে দেওয়া টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন হতে পারো

পৃথিবী সৌরমণ্ডলের এমন এক স্থানে অবস্থান করে যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সৌরমণ্ডলের অন্য কোন গ্রহে নেই তাই বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর জন্মের কারণ জানার জন্য যথেষ্ট উৎসাহিত এবং সেই কারণে বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম বৈজ্ঞানিক কিংবা কল্পনার যুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর জন্ম কে ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করেছেন তার মধ্যে একটি অন্যতম হলো  দ্বি নক্ষত্রীয় তত্ত্ব|

দ্বি-নক্ষত্রীয় তত্ত্ব

(Two Star hypothesis)

Table of Contents

লাইটিল্টন (১৯৩৬) সৌরমণ্ডলের জন্মের বিষয়ে একটি দ্বি-নক্ষত্রীয় ব্যবস্থার কথা বলেন। এক্ষেত্রে সূর্য ছাড় অন্য একটি নক্ষত্র ও অনুপ্রবেশকারী বা আগন্তুক আরও একটি নক্ষত্রের কথা ভাবা হয়। যদি সূর্যের প্রতিবেশী নক্ষত্র সূর্যের তুলনায় অনেক বড়ো হয় এবং সূর্য থেকে অনেক দূরে থাকে, তাহলে আগন্তুক নক্ষত্রের টানে সূর্যের প্রতিবেশী নক্ষত্র থেকে গ্রহসৃষ্টির উপযুক্ত পদার্থ বেরিয়ে আসবে। এই প্রসঙ্গে বিজ্ঞানী এফ. হয়েল (F. Hoyle) একটি উপমা ব্যবহার করেন। তাঁর মতে সূর্যকে যদি আঙুরের সমান একটি বল (ball) বলে ভাবা হয় এবং প্রতিবেশী নক্ষত্র যদি ১০০ গজ দূরে থাকে, তাহলে আগন্তুক নক্ষত্রের কারণে প্রতিবেশী নক্ষত্র থেকে গ্রহসৃষ্টির উপযুক্ত পরিমাণে পদার্থ বেরিয়ে আসতে পারে। এই দূরত্ব সূর্য ও গ্রহদের মধ্যবর্তী দূরত্বের সমানুপাতিক।


হয়েল-এর মতে (১৯৪৬) প্রতিবেশী নক্ষত্র বিকিরণের মাধ্যমে খুব দ্রুত তার হাইড্রোজেন গ্যাস নিঃশেষ করে ফেলায় তা 'সুপারনোভা' (Supernova) অবস্থায় পৌঁছায়, অর্থাৎ প্রথমে অবনমিত হয়ে যায় (collapsed) ও পরে বিস্ফোরণে খণ্ড খণ্ড হয়ে যায়। প্রতিবেশী নক্ষত্রের কেন্দ্রীয় অংশ বিস্ফোরণের কারণে সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ বলের সীমার বাইরে চলে যায়। প্রতিবেশী নক্ষত্রের ফেলে যাওয়া গ্যাসীয় খন্ড সূর্যের চারদিকে একটি আবর্তনকারী বৃত্তাকার পাত হিসেবে ঘুরতে থাকে। এই গ্যাসীয় আস্তরণ পরে ঘনীভূত হয়ে সৌরমণ্ডলের বিভিন্ন গ্রহ সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।


আলোচনা। এই তত্ত্বের বিশেষত্ব হল, সুপারনোভা বিস্ফোরণ এমন এক সম্ভাবনাময় অবস্থা যা থেকে ৫×১০০ ডিগ্রি উন্নতা তৈরি হতে পারে। এই অতিরিক্ত উয়তা গ্রহসৃষ্টির ভারী উপাদানগুলি সৃষ্টির পক্ষে জরুরি। সাধারণ অবস্থায় স্থিতিশীল নক্ষত্রগুলির কেন্দ্রীয় অংশেও এই বিরাট উন্নতা সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয়। শুধুমাত্র ওই ধরনের কোনো বিপুল বিস্ফোরণের ফলেই তা সৃষ্টি হতে পারে।


লাইটিলটন ও হয়েলের দ্বি-নক্ষত্রীয় পরিবারের সম্মিলিত ধারণা থেকে মনে হয়েছিল, সৌরমণ্ডলের গ্রহগুলির সৃষ্টির বিষয়ে একটি গ্রহণযোগ্য ধারণা পাওয়া গেল।



Related Posts

About the Author

Hello Friends, welcome to our website Daily GK Career , founded on 27 April 2023 by Sandip Sanki. Daily GK Career is a free professional Education platform where we provide Free online mock test, govt exam, WBCS, RAIL, GROUP D, BANK, POST Office, …

২টি মন্তব্য

  1. Hi
  2. Please sir provide more theories related to this.
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.